বাদামি, সবুজ বা লাল, এই সব ধরনের মসুর ডালই শক্তির উৎস। বেশিরভাগ ভারতীয় পরিবারে ডাল ভাত বা খিচড়ি একটি প্রধান খাবার হিসাবে পরিবেশিত হয়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম এবং ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের পরিমাণ বেশি থাকে, এগুলি এক রকমের দুর্দান্ত খাদ্য পরিপূরক। প্রকৃতপক্ষে, এগুলি আমাদের শরীরের জন্য একাধিক পুষ্টিকর সুবিধা দিতে পারে।
উড়দ, মসুর, মুুগ, অড়হর (তুর), চানা এবং রাজমা এগুলি ভিটামিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম জাতীয় খনিজ পদার্থ এবং শর্করাও এতেই থাকে। এগুলি শক্তির সর্বোত্তম মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কীভাবে মসুর ডাল হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে?
দিল্লির, সরোজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের HOD – ডায়েটটিক্স বিশেষজ্ঞ নিধি ধাওয়ান, আমাদের পরামর্শ দেন যে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবশ্যই তাদের প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকায় লেবু এবং ডাল যোগ করতে হবে। মসুর ডালগুলিতে অল্প পরিমাণে বহুবিধ অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ধমনীতে প্লেক গঠনকারী ক্ষতিকারক লিপিডগুলি দূর করতে সহায়তা করে। এটি রক্ত সঞ্চালনকে আরও উন্নত করে এবং এইভাবে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই কমায়। তদুপরি, এগুলির ফাইবারের উপাদানগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা সম্পর্কিত ব্যাধিগুলি এড়াতে অন্ত্রে চর্বি এবং কোলেস্টেরলের শোষণকে কমাতে পারে।
মসুরের ডালের আরেকটি সুবিধা হল এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। এগুলিতে উচ্চ ফাইবার সামগ্রী রয়েছে, যা খাওয়ার পরে চিনির মাত্রা খুব দ্রুত বাড়তে বাধা দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মসুর ডাল খাওয়ার ফলে আরজিনিন এবং অন্যান্য যৌগের প্রাপ্যতা বাড়তে পারে যা দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে, এইভাবে ডাল–সমৃদ্ধ ডায়েট রক্তচাপ–হ্রাসকারী প্রভাবও যোগ করতে পারে।[1]
আপনার ডায়েটে ডাল যুক্ত করার উপায়
- আপনার সালাদে আধ-সিদ্ধ মসুর ডাল যোগ করুন
- আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ডাল বা রান্না করা ডাল রুটির আটা মাখার সময় এর সাথে যুক্ত করা যেতে পারে।
- ছোলা জাতীয় শিম্ব জাতীয় শস্যদানাকে নুন দিয়ে সিদ্ধ করে মধ্য দিনের জলখাবার হিসাবে খাওয়া যেতে পারে
- আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন মুগ, মসুর এবং তুর ডালের নানা পদ যোগ করুন
- কিডনি বিন (রাজমা) এবং ডালের মিশ্রণ দিয়ে টিক্কি বা স্যান্ডউইচও তৈরি করতথ্যসূত্র:
1. Hanson M, Zahradka P, Taylor CG, Aliani M. European Journal of Nutrition. 2018 Feb;57(1):297-308. doi: 10.1007/s00394-016-1319-5. Epub 2016 Oct 21.